সুন্নাহ বলতে কী বুঝায়? -2022

সুন্নাহ

 সুন্নাহ

শরিয়তের দ্বিতীয় উৎস হলো সুন্নাহ। সুন্নাহ অর্থ রীতিনীতি । ইসলামি পরিভাষায় মহানবি (স.)-এর বাণী, কর্ম ও তাঁর সমর্থিত রীতিনীতিকে সুন্নাহ বলে। সুন্নাহকে হাদিস নামেও অভিহিত করা হয়। সুন্নাহ হলো আল-কুরআনের ব্যাখ্যা স্বরূপ ।


আল্লাহ তায়ালা কুরআন মজিদে বিভিন্ন বিষয়ের সংক্ষিপ্ত মূলনীতি বর্ণনা করেছেন। আর মহানবি (স.)

তাঁর সুন্নাহর মাধ্যমে এসব বিধি-বিধান ও বিষয়সমূহ ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করেছেন । আল্লাহ তায়ালা বলেন-

وانزلنا إليك التكريتبين للناس مانزل إليهم

অর্থ : “আর আমি আপনার প্রতি কুরআন নাজিল করেছি, মানুষকে সুস্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য যা তাদের প্রতি নাজিল করা হয়েছে।” (সূরা আন-নাহল, আয়াত ৪৪)

أقيموا الصلوة

একটি উদাহরণের মাধ্যমে এ বিষয়টি স্পষ্ট হতে পারে । যেমন আল-কুরআনে বলা হয়েছে ।

অর্থ : “তোমরা সালাত কায়েম কর।” (সূরা আল-আনআম, আয়াত ৭২)


কিন্তু কোথায়, কীভাবে, কোন সময়ে সালাত আদায় করতে হবে এর কোনো পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা আল-কুরআনে

পাওয়া যায় না । বরং রাসুলুল্লাহ (স.) এর ব্যাখ্যা করেছেন । তিনি সালাতের সমস্ত নিয়মকানুন তাঁর হাদিস বা সুন্নাহ এর মাধ্যমে বিশ্লেষণ করেছেন । এভাবে আল-কুরআনের নির্দেশ ও সুন্নাহর বর্ণনার মাধ্যমে সালাত প্রতিষ্ঠা হয় ।


মূলত, সুন্নাহ বা হাদিস হলো আল-কুরআনের পরিপূরক । আল-কুরআনে একে শরিয়তের দলিল হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে । আল্লাহ বলেন -

وما الكم الرسول فخذوه وما تهكم عنه فانتهواء

অর্থ : “রাসুল তোমাদের যা দেন তা তোমরা গ্রহণ কর আর তোমাদের যা নিষেধ করেন তা থেকে বিরত

থাক।” (সূরা আল-হাশর, আয়াত ৭)


সুতরাং প্রমাণিত হয় যে, সুন্নাহ বা হাদিস শরিয়তের অন্যতম দলিল ও উৎস । আল-কুরআনের পরই এর স্থান। (আল-হাদিস)


হাদিস অর্থ কথা বা বাণী । ইসলামি পরিভাষায় হাদিস বলতে মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর

বাণী, কর্ম ও মৌনসম্মতিকে বোঝানো হয় । হাদিসের দুটি অংশ: একটি সনদ  ও অপরটি মতন

(%) । হাদিসের রাবি পরম্পরাকে সনদ বলা হয় । যিনি হাদিস বর্ণনা করেন তাঁকে বলা হয় রাবি বা

বর্ণনাকারী । হাদিস বর্ণনায় হাদিসের রাবিগণের পর্যায়ক্রমিক উল্লেখ বা বর্ণনা পরম্পরাই সনদ। 

আর হাদিসের মূল বক্তব্য বা মূল অংশকে বলা হয় মতন (৪) । হাদিস শাস্ত্রে সনদ ও মতন উভয়টি

খুবই গুরুত্বপূর্ণ । (ইসলামের আলো) 


প্রকারভেদ

প্রকারভেদ


মতন বা হাদিসের মূল বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে হাদিসকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয় । যথা-

ক. কাওলি,

খ. ফিলি এবং

গ. তাকরিরি

ক. কাওলি হাদিস

রাসুলুল্লাহ (স.)-এর বাণীসূচক হাদিসকে কাওলি হাদিস বলা হয় । অর্থাৎ মহানবি (স.)-এর পবিত্র মুখনিঃসৃত বাণীকে কাওলি বা বাণীসূচক হাদিস বলে ।


খ. ফি'লি হাদিস

ফি'লি শব্দের অর্থ কাজ সম্বন্ধীয় । যে হাদিসে মহানবি (স.)-এর কোনো কাজের বিবরণ স্থান পেয়েছে তাকে ফি'লি বা কর্মসূচক হাদিস বলা হয় ।

গ. তাকরিরি হাদিস

তাকরিরি অর্থ মৌন সম্মতি জ্ঞাপক । রাসুলুল্লাহ (স.)-এর অনুমোদনসূচক হাদিসই হলো তাকরিরি

হাদিস । অর্থাৎ সাহাবিগণ রাসুলুল্লাহ (স.)-এর সামনে কোনো কথা বলেছেন কিংবা কোনো কাজ করেছেন।


কিন্তু রাসুলুল্লাহ (স.) তা নিজে করেননি এবং তাতে বাধাও দেননি বরং মৌনতা অবলম্বন করে তাতে

সম্মতি বা অনুমোদন দিয়েছেন । এরূপ অবস্থা বা বিষয়ের বর্ণনা যে হাদিসে এসেছে সে হাদিসকে তাকরিরি বা সম্মতিসূচক হাদিস বলা হয় ।

সনদ বা রাবির পরম্পরার দিক থেকে হাদিস আবার তিন প্রকার । যথা- (ক) মারফু, (খ) মাওকুফ ও (গ)

মাকতু ।

ক. মারফু হাদিস

যে হাদিসের সনদ রাসুলুল্লাহ (স.) পর্যন্ত পৌঁছেছে তাকে মারফু হাদিস বলা হয় ।

খ. মাওকুফ হাদিস

যে হাদিসের সনদ সাহাবি পর্যন্ত পৌছে শেষ হয়ে গেছে, রাসুলুল্লাহ (স.) পর্যন্ত পৌঁছেনি এরূপ হাদিসকে

মাওকুফ হাদিস বলে ।

গ. মাকতু হাদিস


যে হাদিসের সনদ তাবিঈ পর্যন্ত পৌঁছেছে তাকে মাকতু হাদিস বলে । অন্যকথায়, যে হাদিসে কোনো

তাবিঈর বাণী, কাজ ও মৌন সম্মতি বর্ণিত হয়েছে তাকে মাকতু হাদিস বলা হয় ।


প্রকৃতপক্ষে, শরিয়তে আরও বহু প্রকারের হাদিস দেখা যায় । আমরা পরবর্তীতে এগুলো সম্পর্কে জানব ।


নিজস্ব, কিন্তু তার অর্থ, ভাব ও মূলকথা আল্লাহ তায়ালার নিকট থেকে ইলহাম বা স্বপ্নযোগে প্রাপ্ত, তাকে সরাসরি আল্লাহ তায়ালার সাথে সম্পৃক্ত । ইসলামি পরিভাষায়, যে হাদিসের শব্দ ও ভাষা রাসুলুল্লাহ (স.)-এর নিজস্ব, কিন্তু তার অর্থ, ভাব ও মূলকথা আল্লাহ তায়ালার নিকট থেকে ইলহাম বা স্বপ্নযোগে প্রাপ্ত, তাকে


হাদিসে কুদসি বলে । সংক্ষেপে, যে হাদিসের মূল কথা আল্লাহ তায়ালার নিকট থেকে প্রাপ্ত এবং মহানবি (স.) নিজের ভাষায় তা উম্মতকে জানিয়ে দিয়েছেন সেটাই হাদিসে কুদসি । হাদিসে কুদসির ভাব, অর্থ ও মূলকথা আল্লাহ তায়ালার হলেও তা আল-কুরআনের অন্তর্ভুক্ত নয় । বরং এটি হাদিস হিসেবে বিশেষ মর্যাদার অধিকারী । (ইসলামের আলো)


হাদিস সংরক্ষণ ও সংকলন

হাদিস সংরক্ষণ ও সংকলন


রাসুলুল্লাহ (স.)-এর বাণী, কর্ম ও মৌনসম্মতিকে সাধারণভাবে হাদিস বলা হয় । সুতরাং রাসুলুল্লাহ

(স.) থেকেই হাদিসের উৎপত্তি । রাসুলুল্লাহ (স.)-এর জীবদ্দশায় হাদিস লিখে রাখা নিষেধ ছিল । কেননা

তখন আল-কুরআন নাজিল হচ্ছিল । এ অবস্থায় মহানবি (স.)-এর হাদিস লিখে রাখলে তা আল-কুরআনের বাণীর সাথে সংমিশ্রণের আশঙ্কা ছিল । এ কারণে রাসুলুল্লাহ (স.)-এর জীবদ্দশায় ব্যাপকভাবে হাদিস লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষণ করা হয়নি ।


তবে সাহাবিগণ মহানবি (স.)-এর বাণীসমূহ মুখস্থ রাখতেন । রাসুলুল্লাহ (স.) কোন সময় কী কাজ করতেন তা খেয়াল রাখতেন । আরবদের স্মৃতিশক্তি ছিল অসাধারণ। তাঁরা একবার যা স্মৃতিতে ধারণ করতেন। কখনোই তা ভুলতেন না । ফলে রাসুলুল্লাহ (স.)-এর প্রতিটি বাণী ও কাজ সাহাবিগণের স্মৃতিতে সংরক্ষিত হতো। (ইসলামের আলো)


 রাসুলুল্লাহ (স.)ও স্বয়ং তাঁদের হাদিস মুখস্থ করার জন্য উৎসাহিত করতেন । তিনি বলেন, “আল্লাহ

ঐ ব্যক্তির জীবন উজ্জ্বল করবেন, যে আমার কথা শুনে তা মুখস্থ করল ও সঠিকরূপে সংরক্ষণ করল এবং এমন ব্যক্তির নিকট পৌঁছে দিল যে তা শুনতে পায়নি।” (তাবারানি) । সাহাবিগণ রাসুল (স.)-এর কথা শুনতেন, তা মনে রাখতেন এবং তা হুবহু বন্ধুবান্ধব, পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়-স্বজনের নিকট পৌঁছে দিতেন ।


এভাবে রাসুলুল্লাহ (স.) এর জীবদ্দশাতেই হাদিস সংরক্ষণ শুরু হয় । তা ছাড়া লিখিত আকারেও সেসময় বেশ কিছু হাদিস সংরক্ষিত হয়। বহু সাহাবি রাসুলুল্লাহ (স.)-এর অনুমতিক্রমে ব্যক্তিগত উদ্যোগে হাদিস লিখে রাখতেন। এ প্রসঙ্গে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.)-এর সহিফা ‘আস-সাদিকা’-এর কথা উল্লেখযোগ্য । এ সহিফাতে তিনি রাসুলুল্লাহ (স.)-এর বহুসংখ্যক হাদিস লিখে রেখেছিলেন। তা ছাড়া রাসুলুল্লাহ (স.)-এর চিঠিপত্র, সন্ধিপত্র-চুক্তিনামা, সনদ, ফরমান ইত্যাদি লিখিত আকারে সংরক্ষিত ছিল ।


হাদিস সংকলনের ক্ষেত্রে উমাইয়া খলিফা হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযিয (র.)-এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । তিনিই সর্বপ্রথম সরকারিভাবে হাদিস সংগ্রহ ও সংকলনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন । তাঁর উৎসাহ ও পৃষ্ঠপোষকতায় হাদিস সংগ্রহ ও সংকলনে নতুন গতি সঞ্চার হয় । এরই ধারাবাহিকতায় হযরত ইমাম মালিক (র.) সর্বপ্রথম হাদিসের বিশুদ্ধ সংকলন তৈরি করেন । তাঁর এ গ্রন্থের নাম আল-মুয়াত্তা ।(ইসলামের আলো)


হিজরি ৩য় শতক ছিল হাদিস সংকলনের স্বর্ণযুগ । এ সময় হাদিসের বিশুদ্ধতম ছয়টি কিতাব সংকলিত হয় । এগুলোকে একত্রে সিহাহ সিত্তাহ বা ছয়টি বিশুদ্ধ হাদিস গ্রন্থ বলা হয় । এ ছয়টি গ্রন্থ এবং এদের সংকলকগণের

নাম :

১. সহিহ বুখারি

ইমাম আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল আল-বুখারি (র.)


২. সহিহ মুসলিম

ইমাম আবুল হুসাইন মুসলিম ইবনে হাজ্জাজ আল-কুশাইরি (র.)

৩. সুনানে নাসাই

ইমাম আবু আব্দুর রহমান আহমদ ইবনে শুআইব আন-নাসাই (র.)

৪.সুনানে আবু দাউদ

ইমাম আবু দাউদ সুলায়মান ইবনে আশআস (র.)

৫l.জামি তিরমিযি

ইমাম আবু ঈসা মুহাম্মদ ইবনে ঈসা আত-তিরমিযি (র.)

৬. সুনানে ইবনে মাজাহ - ইমাম আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে ইয়াজিদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে মাজাহ (র.)


হাদিসের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

হাদিসের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা


ইসলামি শরিয়তে হাদিসের গুরুত্ব অপরিসীম। হাদিস হলো শরিয়তের দ্বিতীয় উৎস । এটিও এক প্রকার ওহি । মহানবি (স.) আল্লাহ তায়ালার নির্দেশনা প্রাপ্ত হয়েই মানুষকে নানা বিষয়ের নির্দেশনা প্রদান করতেন। যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন :



وما ينطق عن الهوى لان هو الا وحي يوحى

অর্থ : “আর তিনি নিজ প্রবৃত্তি থেকে কোনো কথা বলেন না । তা তো ওহি, যা তাঁর প্রতি প্রত্যাদেশ হয়।

(সূরা আন-নাজম, আয়াত ৩-৪)


সুতরাং রাসুলুল্লাহ (স.)-এর বাণী ও কাজের অনুসরণ করা আবশ্যক। রাসুলুল্লাহ (স.)-এর আনুগত্য করলে প্রকারান্তরে আল্লাহ তায়ালারই আনুগত্য করা হয় । আল্লাহ তায়ালা এতে সন্তুষ্ট হন । আল্লাহ তায়ালা বলেন, “আপনি বলুন! তোমরা আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য কর। যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে জেনে রাখুন, আল্লাহ তো কাফিরদের পছন্দ করেন না।” (সূরা আলে ইমরান, আয়াত ৩২)।(ইসলামের আলো)


আল-হাদিস পবিত্র কুরআনের ব্যাখ্যা স্বরূপ । আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে শরিয়তের যাবতীয় আদেশ- নিষেধ, বিধি-বিধান ও মূলনীতি অত্যন্ত সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করেছেন। অতঃপর নবি (স.)-এর দায়িত্ব ছিল এসব বিধি-বিধান স্পষ্টরূপে বর্ণনা করা । আল্লাহ তায়ালা বলেন, “আর আমি আপনার প্রতি কুরআন নাজিল করেছি, মানুষকে সুস্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য যা তাদের প্রতি নাজিল করা হয়েছে।” (সূরা আন-নাহল, আয়াত ৪৪)। (ইসলামের আলো)



রাসুলুল্লাহ (স.) কুরআনের বিধি-বিধানসমূহের প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা দিতেন । অনেক ক্ষেত্রে নিজে আমল করার দ্বারা এসব বিধান হাতে-কলমে শিক্ষা দিতেন । রাসুলুল্লাহ (স.)-এর এসব বাণী ও কর্মই হাদিস ।


সুতরাং কুরআনের বিধি-বিধান সুস্পষ্টরূপে অনুসরণের জন্য হাদিস অত্যন্ত প্রয়োজনীয় । নিম্নের উদাহরণের মাধ্যমে আমরা আরও ভালোভাবে বিষয়টি বুঝতে পারি । যেমন- কুরআন মজিদে সালাত কায়েম করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । কিন্তু কীভাবে কোন সময়, কত রাকআত সালাত আদায় করতে হবে তার বিস্তারিত দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়নি। ঠিক তেমনিভাবে কুরআনে যাকাত প্রদানেরও হুকুম দেওয়া হয়েছে । (ইসলামের আলো)


কিন্তু কে যাকাত দেবে, কাকে দেবে, কতপরিমাণ দেবে, এর কোনো নিয়ম সবিস্তারে বর্ণনা করা হয়নি।

রাসুলুল্লাহ (স.) হাদিসের দ্বারা আমাদের এসব নিয়ম-কানুন সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মভাবে বর্ণনা করেছেন। ফলে আমরা যথাযথভাবে এগুলো আদায় করতে পারছি । এজন্য আল্লাহ তায়ালা বলেছেন :

وما الكم الرسول فخذوه وما تهكم عنه فانتهواء


অর্থ : “রাসুল তোমাদের যা দেন তা তোমরা গ্রহণ কর । আর যা নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক।” (সূরা আল-হাশর, আয়াত ৭)


আর রাসুলুল্লাহ (স.)-এর আদেশ-নিষেধ এর পরিপূর্ণ আনুগত্য ও অনুসরণের জন্যও হাদিস জানা

অত্যাবশ্যক । কেননা হাদিসের মাধ্যমেই আমরা এসব বিষয় জানতে পারি । মহানবি (স.) স্বয়ং হাদিসের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন,

تركت فيكم أمرين لن تضلوا ما تمسكتم بهما كتاب الله وسنة رسوله -


অর্থ : “আমি তোমাদের মধ্যে দুটি বস্তু রেখে যাচ্ছি। যতদিন তোমরা এ দুটোকে আঁকড়ে থাকবে ততদিন পর্যন্ত তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না । একটি হলো আল্লাহর কিতাব (আল-কুরআন) এবং অপরটি তাঁর রাসুলের সুন্নাহ ।” (মুয়াত্তা)


প্রকৃতপক্ষে, কুরআন ও হাদিস ইসলামি শরিয়তের সর্বপ্রধান দুটি উৎস। এগুলো মানুষকে সত্য, ন্যায় ও

শান্তির পথে পরিচালনা করে । এ দুটোর শিক্ষা ও আদর্শ ত্যাগ করলে মানুষ পথভ্রষ্ট হয়ে পড়ে ।

সুতরাং মানবজীবনে আল-কুরআনের পাশাপাশি মহানবি (স.)-এর হাদিসের প্রয়োজনীয়তাও অনস্বীকার ।

(ইসলামের আলো)




Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url