কবিরা গুনাহ কাকে বলে?
🌀 কবিরা গুনাহ কাকে বলে?
কবিরা গুনাহ বলা হয় ঐ সকল বড় বড় পাপকর্ম সমূহকে যেগুলোতে নিন্মোক্ত কোন একটি বিষয় পাওয়া যাবে:
◉ যে সকল গুনাহের ব্যাপারে ইসলামি শরিয়তে জাহান্নামের শাস্তির কথা বলা হয়েছে।
◉ যে সকল গুনাহের ব্যাপারে দুনিয়াতে নির্ধারিত দণ্ড প্রয়োগের কথা রয়েছে।
◉ যে সকল গুনাহের ব্যাপারে বলা হয়েছে, আল্লাহ তায়ালা রাগ করেন।
◉ যে সকল কাজে আল্লাহ তায়ালা, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও ফেরেশতা মণ্ডলী লানত দেন।
◉ যে কাজের ব্যাপারে বলা হয়েছে, যে এমনটি করবে সে মুসলমানদের দলভুক্ত নয়।
◉ কিংবা যে কাজের ব্যাপারে আল্লাহ ও রাসূলের সাথে সম্পর্কহীনতার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
◉ সে সব বিষয়কে মুনাফেকির আলামত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
◉ যে কাজে ‘দ্বীন নাই’, ‘ঈমান নাই’ ইত্যাদি বলা হয়েছে।
◉ অথবা যে কাজকে আল্লাহ তায়ালা সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয় করা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
🌀 কবিরা গুনাহ থেকে বিরত থাকার মর্যাদা:
১. মহান আল্লাহ বলেন:
إِن تَجْتَنِبُوا كَبَائِرَ مَا تُنْهَوْنَ عَنْهُ نُكَفِّرْ عَنكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ وَنُدْخِلْكُم مُّدْخَلًا كَرِيمًا
"যেগুলো সম্পর্কে তোমাদের নিষেধ করা হয়েছে যদি তোমরা সেসব বড় গোনাহ গুলো থেকে বেঁচে থাকতে পার। তবে আমি তোমাদের (ছাট) গুনাহ সমূহ ক্ষমা করে দেব এবং সম্মান জনক স্থানে তোমাদের প্রবেশ করাব।” (সূরা নিসা: ৩১)
২. রাসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন:
الصلوات الخمس . والجمعة إلى الجمعة . ورمضان إلى رمضان . مكفرات ما بينهن
إذا اجتنب الكبائر
“পাঁচ ওয়াক্ত নামায, এক জুমা থেকে আরেক জুমা এবং এক রমাযান থেকে আরেক রমাযান এতদুভয়ের মাঝে সংঘটিত সমস্ত পাপ রাশির জন্য কাফফারা স্বরূপ যায় যদি কবিরা গুনাহ সমূহ থেকে বেঁচে থাকা যায়।” (মুসলিম)
🌀 কবিরা গুনাহ (বড় পাপ):
নিম্নে কবিরা গুনাহসমূহ (বড় পাপ) তুলে ধরা হল:
1. আল্লাহর সাথে শিরক করা
2. নামায পরিত্যাগ কর
3. অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করা
4. পিতা-মাতাকে অভিসম্পাত করা
5. যাদু-টোনা করা
6. এতিমের সম্পদ আত্মসাৎ করা
7. সতী-সাধ্বী মু‘মিন নারীর প্রতি অপবাদ
8. রোযা না রাখা
9. যাকাত আদায় না করা
10. ক্ষমতা থাকা সত্যেও হজ্জ আদায় না করা
11. যাদুর বৈধতায় বিশ্বাস করা
12. অহংকার করা
13. আত্মহত্যা করা
14. আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করা
15. অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থ ভক্ষণ করা
16. মাদক বা নেশা দ্রব্য গ্রহণ করা।
17. মদ প্রস্তুত ও প্রচারে অংশ গ্রহণ করা।
18. তকদির (ভাগ্য) অস্বীকার করা।
19. অদৃশ্যের খবর জানার দাবী করা।
20. গণকের কাছে ধর্না দেয়া বা গণকের কাছে অদৃশ্যের খবর জানতে চাওয়া।
21. পেশাব থেকে পবিত্র না থাকা।
22. রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নামে মিথ্যা হাদিস বর্ণনা করা।
23. মিথ্যা স্বপ্ন বর্ণনা করা।
24. মিথ্যা কথা বলা।
25. মিথ্যা কসম খাওয়া।
26. মিথ্যা কসমের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করা।
27. মানুষের গোপন কথা চুপিসারে শোনার চেষ্টা করা।
28. মানুষের বংশ মর্যাদায় আঘাত হানা।
29. মৃতের উদ্দেশ্যে উচ্চস্বরে ক্রন্দন করা।
30. মুসলিম সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা।
31. খেলার ছলে কোন প্রাণীকে নিক্ষেপ যোগ্য অস্ত্রের লক্ষ্য বস্তু বানানো।
32. কোন অপরাধীকে আশ্রয় দান করা।
33. আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে পশু জবেহ করা।
34. ঝগড়া-বিবাদে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করা।
35. দাঁত চিকন করা।
36. সৌন্দর্যের উদ্দেশ্যে মুখমণ্ডলের চুল তুলে ফেলা বা চুল উঠিয়ে ভ্রু চিকন করা (ভ্রু প্লাগ করা)
37. মাথায় অতিরিক্ত/ চুল সংযোগ করা (পরচুলা ব্যবহার করা)
38. পুরুষের নারী বেশ ধারণ করা।
39. নারীর পুরুষ বেশ ধারণ করা।
40. বিপরীত লিঙ্গের প্রতি কামনার দৃষ্টিতে তাকানো।
41. কবরকে মসজিদ হিসেবে গ্রহণ করা।
42. পথিককে নিজের কাছে অতিরিক্ত পানি থাকার পরেও না দেয়া।
43. পুরুষের গোড়ালির নিচে ঝুলিয়ে পোশাক পরিধান করা।
44. মুসলিম শাসকের সাথে কৃত বয়াত বা আনুগত্যের শপথ ভঙ্গ করা।
45. গনিমত (জিহাদের মাধ্যমে কাফেরদের নিকট থেকে প্রাপ্ত সম্পদ) বণ্টনের পূর্বে আত্মসাৎ করা।
46. স্ত্রীর পায়ু পথে যৌন ক্রিয়া করা।
47. জুলুম-অত্যাচার করা।
48. অস্ত্র দ্বারা ভয় দেখানো বা তা দ্বারা কাউকে ইঙ্গিত করা।
49. প্রতারণা বা ঠগবাজী করা।
50. রিয়া বা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে সৎ আমল করা।
51. স্বর্ণ বা রৌপ্যের তৈরি পাত্র ব্যবহার করা।
52. পুরুষের রেশমি পোশাক এবং স্বর্ণ ও রৌপ্য পরিধান করা।
53. নামাজরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে গমন করা।
54. মনিবের নিকট থেকে কৃতদাসের পলায়ন।
55. ভ্রান্ত মতবাদ জাহেলি রীতিনীতি অথবা বিদআতের প্রতি আহবান করা।
56. পবিত্র মক্কা ও মদিনায় কোন অপকর্ম বা দুষ্কৃতি করা।
57. কোন দুষ্কৃতিকারীকে প্রশ্রয় দেয়া।
58. আল্লাহর ব্যাপারে অনধিকার চর্চা করা।
59. বিনা প্রয়োজনে তালাক চাওয়া।
60. যে নারীর প্রতি তার স্বামী অসন্তুষ্ট।
61. স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর অবদান অস্বীকার করা।
62. স্বামী-স্ত্রীর মিলনের কথা জনসম্মুখে প্রকাশ করা।
84. স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিবাদ সৃষ্টি করা।
63. বিশ্বাসঘাতকতা করা।
64. অঙ্গীকার পূরণ না করা।
65. শরীরে উল্কি অঙ্কন করা বা ট্যাটু করা।
66. ঋণ পরিশোধ না করা।
67. বদ মেজাজি ও এমন অহংকারী যে উপদেশ গ্রহণ করে না।
68. তাবিজ-কবজ, রিং, সুতা ইত্যাদি ঝুলানো।
69. পরীক্ষায় নকল করা।
70. ভেজাল পণ্য বিক্রয় করা।
71. ইচ্ছাকৃত ভাবে জেনে শুনে অন্যায় বিচার করা।
72. আল্লাহ বিধান ব্যতিরেকে বিচার-ফয়সালা করা।
73. পার্থিব উদ্দেশ্যে দীনী ইলম (দীনের জ্ঞান) অর্জন করা।
74. কোন ইলম (দীনের জ্ঞান) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জানা সত্যেও তা গোপন করা।
75. নিজের পিতা ছাড়া অন্যকে পিতা বলে দাবী করা।
76. আল্লাহর রাস্তায় বাধা দেয়া।
77. ইসলাম নির্ণারিত শান্তিযােগ্য অপরাধ অপরাদীর (চুরি, চাকতি, খুন, ধর্ষণ, ইত্যাদি) শান্তি মওকুফের জন্য সুপারিশ বা চেষ্টা করা।
78. আইনের মাধ্যমে বিচার ছাড়া কোনো মানুষ হত্যা করা এমনকি ডাকাতি, খুন, ধর্মদ্রোহিতা ইত্যাদি ইসলামী বিধানে যে অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বলে নির্ধারিত সে অপরাধে লিপ্ত ব্যক্তিকে কোনো ব্যক্তি নিজের হাতে শাস্তি দিলে তা হত্যা। একমাত্র উপযুক্ত আদালতের বিচারের মাধ্যমেই অপরাধীর অপরাধ, তার মাত্রা ও শান্তি হবে। যথাযথ বিচারে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগে কাউকে অপরাধী মনে করা বা শান্তি দেওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে সৃষ্টির অধিকার নাই। কঠিন অপরাধ ।
79. রাষ্ট্রপ্রধান, প্রশাসক বা বিচারক কর্তৃক জনগণের দায়িত্ব, সম্পদ বা আমানত আদায়ে অবহেলা করা বা ফাঁকি দেওয়া।
80. নাগরিক কর্তৃক রাষ্ট্রপ্রধান, শাসক, প্রশাসক বা প্রধানকে ধোকা দেওয়া বা রাষ্ট্রের ক্ষতিকর কিছু করা ।
81. রাষ্ট্র বা সমাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বা সশস্ত্র বিদ্রোহ।
82. অন্যায় দেখেও সাধ্যমতো প্রতিকার বা প্রতিবাদ না করা ।
83. 'বাইয়াত' অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় আনুগত্যের শপথের বাইরে থেকে রাষ্ট্রদ্রোহী' ।অবাধ্য অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা।
84 রাষ্ট্র প্রশাসনের অন্যায় বা যুলুম সমর্থন বা সহযােগিতা করা ।সমাজের মানুষদেরকে কবীরা গুনাহের কারণে কাফির বলা বা মনে করা।
85. বিচারকের জন্য ন্যায় বিচারে একনিষ্ঠ না হওয়া বা বিচার্য বিষয়ের বাইরে কোনাে কিছু দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিচার করা ।
86. আইন প্রয়ােগকারীর জন্য আইন প্রয়ােগের ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব করা ও আপনজনদের জন্য হাল্কাভাবে শাস্তি প্রয়ােগ করা।
87. মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান বা প্রয়ােজনের সময় সত্য সাক্ষ্য প্রদান না করা।
88.রাষ্ট্রীয় সম্পদ অবৈধভাবে ভক্ষণ বা ভােগ করা, তা যত সামান্যই হােক।
89. মুনাফিককে নেতা বলা।
90. জিহাদের মাঠ থেকে পালিয়ে আসা।
91. মুসলিমগণকে কষ্ট প্রদান ও গালি দেওয়া ।
92. জবরদস্তি, মিথ্যা মামলা বা অবৈধভাবে কোনাে মানুষ থেকে কিছু গ্রহণ করা।
93. হাটবাজার, রাস্তাঘাটে টোল আদায় করা বা চাঁদাবাজি করা।
94. মুসলিম সমাজে বসবাসরত অমুসলিম নাগরিককে কষ্ট প্রদান বা তার অধিকার নষ্ট করা। যে কোনাে মানুষকে কষ্ট দেওয়াই কঠিন পাপ। তবে হাদীস শরীফে বিশেষ করে অমুসলিম ও সমাজের দুর্বল শ্রেনিগুলােরকথা উল্লেখ করা হয়েছে । এছাড়া সাধারণ নির্দেশনা তাে আছেই।
95. কোনাে মহিলা বা ইয়াতিমের সম্পদ ভক্ষণ করা। যে কোনাে মানুষের সামান্য সম্পদ অবৈধভাবে গ্রহণ অন্যতম কবীর গুনাহ। তবে মহিলা ও ইয়াতিম যেহেতু দুর্বল এজন্য হাদীসে তাদের দুর্বলতার কথা উল্লেখ করে তাদের সম্পদ অবৈধ ভােগকারীর কঠিন শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
96. আল্লাহর প্রিয় ধার্মিক বান্দাগণকে কষ্ট প্রদান বা তাদের সাথে শত্রুতা করা।
97. প্রতিবেশীর কষ্ট প্রদান।
98. কোনাে মাজলিসে এসে খালি জায়গা দেখে না বসে ঠেলাঠেলি করে অন্যদের কষ্ট দিয়ে মাজলিসের মাঝে এসে বসে পড়া বা এমনভাবে মাঝে বসা যাতে অন্য মানুষদের অসুবিধা হয় ।
99. কারাে স্ত্রী বা চাকর-বাকর ফুসলিয়ে সরিয়ে দেওয়া
101. কর্কশ ব্যবহার ও অশ্লীল-অশ্রাব্য কথা বলা ।
102. অভিশাপ বা গালি দানে অভ্যস্ত হওয়া ।
103. কোনাে মুসলিমের দুর্বলতার সুযােগ গ্রহণ করে কিছু অর্থলাভ করা।
104. তিন দিনের অধিক কোনাে মুসলিমের সাথে কথাবার্তা বন্ধ রাখা ।
105. মুসলিমগণের একে অপরকে ভাল না বাসা বা ভালবাসার অভাব থাকা ।
106. মুসলিমদের গােপন দোষ খোঁজা, জানা ও বলে দেওয়া ।
107. নিজের জন্য যা পছন্দ করে অন্যের জন্য তা পছন্দ না করা।
108. কোনাে ব্যক্তিকে তার বংশের বিষয়ে অপবাদ দেওয়া ৩৩. পিতামাতার অবাধ্য হওয়া বা তাদের কষ্ট প্রদান করা।
109. সুদ গ্রহণ করা, প্রদান করা, সুদ লেখা বা সাক্ষী হওয়া।
110. ঘুষ গ্রহণ করা, প্রদান করা ও ঘুষ আদান প্রদানের মধ্যস্থতা করা।
111. মিথ্যা শপথ করা।
112. হীলা বিবাহ করা বা করানাে।
113. আমানতের খেয়ানত করা।
114. কোনাে মানুষের উপকার করে পরে খােটা দেওয়া। 115. মানুষের গােপন কথা শােনা বা জানার চেষ্টা করা।
116. স্ত্রীর জন্য স্বামীর অবাধ্য হওয়া।
117. স্বামীর জন্য স্ত্রীর টাকা বা সম্পদ তার ইচ্ছার বাইরে ভােগ বা দখল করা।
118. চোগলখুরি করা বা একজন মানুষের কাছে অন্য মানুষের নিন্দামন্দ ও শত্রুতামূলক কথা বলে উভয়ের মধ্যে সুসম্পর্ক নষ্ট করা।
119. গীবত বা পরচর্চা করা। অর্থাৎ কারাে অনুপস্থিতিতে তার মধ্যে বিরাজমান বাস্তব ও সত্য দোষগুলাে উল্লেখ করা ।
120. অসত্য দোষারােপ করা। অর্থাৎ কারাে মধ্যে যে দোষ বিরাজমান নেই অনুমানে বা লোকমুখে শুনে তার সম্পর্কে সে দোষের কথা উল্লেখ করা।
121. জমির সীমানা পরিবর্তন করা।
122. মহান সাহাবীগণকে গালি দেওয়া
123. আনসারগণকে গালি দেওয়া।
124. পাপ বা বিভ্রান্তির দিকে বা খারাপ রীতির দিকে আহ্বান করা ।
125. কারাে প্রতি অস্ত্র জাতীয় কিছু উঠান বা হুমকি প্রদান।
126. নিজের পিতা ছাড়া অন্যকে পিতা বলা।
127. জেদাজেদি ঝগড়া, বিতর্ক কলহ বা কোন্দল ।
128. ওজন, মাপ বা দ্রব্যে কম দেওয়া বা ভেজাল দেওয়া
129.. কোনাে উপকারীর উপকার অস্বীকার করা বা অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা
130. নিজের প্রয়ােজনের অতিরিক্ত পানি অন্যকে প্রদান থেকে বিরত থাকা।
131. কোন প্রাণির মুখে আগুনে পুড়িয়ে বা কেটে দাগ বা মার্কা দেওয়া ।
132.জুয়া খেলা।
133. অবৈধ ঝগড়া বা গােলযােগে সহযােগিতা করা ।
134. কথাবার্তায় সংযত না হওয়া।
135. ওয়াদা ভঙ্গ করা।
136. উত্তরাধিকারীকে উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করা
137. স্বামী বা স্ত্রী কর্তৃক তাদের একান্ত গােপনীয় কথা অন্য কাউকে বলা।
138 কারাে বাড়ি বা ঘরের মধ্যে অনুমতি ছাড়া দৃষ্টি দেওয়া।
139. কেউ আল্লাহর নামে শপথ করে সাহায্য বা ক্ষমা চাইলে, তার প্রতি বিরক্ত হওয়া অথবা তাকে ক্ষমা বা সাহায্য না করা।
140. বঞ্চিত ও দরিদ্রদেরকে খাদ্য প্রদানে ও সাহায্য দানে উৎসাহ না দেওয়া।
141. ব্যভিচার, সমকামিতা বা যৌন অনাচার ও অশ্লীলতা
142. নিরপরাধ মানুষকে, বিশেষত মহিলাকে ৪ জন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর সুস্পষ্ট সাক্ষ্য ছাড়া ব্যভিচার বা অনৈতিকতার অপবাদ দেওয়া ।
143. সমাজে অশ্লীলতা প্রসার করতে পারে এমন কোনাে গল্পগুজব ৰা কথাবার্তা বলা বা প্রচার করা। এর মধ্যে সকল পর্ণোগ্রাক্তি, ছবি, অশীপ উপন্যাস ও গল্প অন্তর্ভুক্ত। এগুলাের প্রচার, বিক্রয়, আদান প্রদান সই কবীরা গুনাহ ।
উপরের সকল পাপই অত্যন্ত ক্ষতিকর। কুরআন ও হাদীসে এগুলাের ভয়ঙ্কর শাস্তি ও খারাপ পরিণতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে কোনাে কোনাে পাপ নেক আমলের কলে আল্লাহ ক্ষমা করতে পারেন। আবার কোনাে কোনাে পাপ সকল নেক আমলকে বিনষ্ট করে দেয়। এ সকল ইবাদত বিনষ্টকারী পাপের অন্যতম শিরক, কুফর, অবস্থার, হিংসা, অপরের অধিকার নষ্ট করা, গীবত করা ইত্যাদি
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সকল প্রকার গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন এবং কু প্রবৃত্তি ও শয়তানের প্ররোচনায় কোন গুনাহ করে ফেললে আমাদেরকে ক্ষমা করুন। আমীন।
পোস্টটি প্রচার করে অন্যদের জানার সুযোগ করে দিন
⭕প্রচার করার ফজিলত❤️
১. যে ব্যাক্তি একটি হাদীস প্রচার করে, আল্লাহ তাকে সৌন্দর্যমন্ডিত করেন। কখনো শ্রোতার চেয়ে প্রচারকারী অধিকতর স্মৃতিধর হয়ে থাকে।
#ইবনে মাজাহ হা/২৩২
২. “যে ব্যক্তি কোন হেদায়েতের দিকে আহ্বান করে সে ব্যক্তির জন্য রয়েছে এমন প্রতিদান যে প্রতিদান এ হেদায়েতের অনুসরণকারীগণও পাবেন; কিন্তু অনুসারীদের প্রতিদান হতে বিন্দুমাত্রও কমানো হবে না।
আর যে ব্যক্তি কোন ভ্রষ্টতার দিকে আহ্বান করে সে ব্যক্তির জন্য রয়েছে এমন গুনাহ যে গুনাহ এ ভ্রষ্টতাতে লিপ্ত ব্যক্তিরা পাবে; কিন্তু অনুসারীদের গুনাহ থেকে বিন্দুমাত্রও কমানো হবে না”[সহিহ মুসলিম (২৬৭৪)]
৩. "যদি কেউ ইসলামের মধ্যে কোনো ভালাে সুন্নাত চালু করে অতঃপর অন্য মানুষেরা এই 'ভালাে সুন্নাত অনুযাযী কর্ম করে তাহলে ঐ প্রবর্তক ব্যক্তি পরবর্তী সকল কর্মকারীর কর্মের সমান সাওয়াব ও পুরস্কার পাবে, তবে এতে পরবর্তী কর্মকারীদের সাওয়াব কমবে না । অনুরূপভাবে যদি কেউ ইসলামের মধ্যে কোনাে খারাপ সুন্নাত চালু করে এবং পরে অন্য মানুষেরা এই খারাপ সুন্নাত মতাে কর্ম করে তাহলে পরবর্তী সকল কর্মকারীর কর্মের গােনাহের সমপরিমাণ গােনাহ লাভ করবে প্রথম প্রবর্তক ব্যক্তি, কিন্তু এতে পরবর্তী কর্মকারীদের গােনাহ কমবে না।
#কিতাবুল ইলম নং ৪৮৩০
©এহইয়ায়ুস সুনান
৪.৪.আল্লাহর শপথ! যদি তোমার চেষ্টার দ্বারা আল্লাহ একটি লোককে হেদায়েত দেন, তবে তা হবে তোমার জন্য এক পাল লাল উটের চেয়েও উত্তম।[1]
#আবুদাউদ ৩৬৬১